ইতিহাসঃ
বিজিবি মহাপরিচালক মহোদয় বলিপাড়া ব্যাটালিয়ন পরিদর্শনকালে পর্যটন শিল্পের সুদূর প্রসারী সম্ভবনা অনুভব করে থানচি বিওপিতে একটি মানসম্মত রিসোর্ট নির্মাণের নির্দেশনা প্রদান করেন। মহাপরিচালক মহোদয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী রিজিয়ন কমান্ডার, দক্ষিণ-পূর্ব রিজিয়ন, চট্টগ্রাম এর সার্বক্ষণিক নির্দেশনার আলোকে গত ২৮ নভেম্বর ২০১৫ তারিখ “সীমান্ত অবকাশ” বিজিবি রিসোর্ট, থানচি নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়। রিজিয়ন কমান্ডার, দক্ষিণ-পূর্ব রিজিয়ন, চট্টগ্রাম এবং বলিপাড়া ব্যাটালিয়ন অধিনায়কের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সহযোগিতায় এই মনোমুগ্ধকর “সীমান্ত অবকাশ” বিজিবি রিসোর্ট নির্মিত হয় এবং গত ২৮ ডিসেম্বর ২০১৫ তারিখে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা উপদেষ্টা কর্তৃক উদ্বোধন করা হয়। পরবর্তীতে পর্যায়ক্রমে রিজিয়ন কমান্ডার, কক্সবাজার এর দিক নির্দেশনায় সেক্টর কমান্ডার, বান্দরবান এর সহযোগিতায় ও বলিপাড়া ব্যাটালিযন অধিনায়কের সার্বক্ষণিক তত্ত্বাবধানে “সীমান্ত অবকাশ” থানচি রিসোর্টকে আধুনিক, মানসম্মত ও সৌন্দর্যপূর্ণ রিসোর্ট রুপান্তর করা হয়েছে।
বিবরণ ও অবস্থানঃ
নৈসর্গিক সৌন্দয্যের অপার লীলাভূমি বান্দরবান জেলার থানচি উপজেলার অন্যতম দর্শনীয় রেমাক্রি জলপ্রপাত, নাফামুখ ঝর্ণা, আমিয়ামুখ, কুমারী ঝর্ণা, পদ্মঝিড়ি, বড়পাথর, রাজা পাথর, দেবত পাহাড় এবং ডিম পাহাড়ের মতো পর্যটনের স্থান গুলো দেশ-বিদেশের পর্যটকদের নিকট দীর্ঘদিন অনাবিষ্কৃত ছিল। ভ্রমন পিপাসু পর্যটকগণ নীলগিরি পর্যন্ত ভ্রমন করলেও যোগাযোগ ব্যবস্থার অপ্রুতলতা, মানসম্পন্ন আবাসন ও সঠিক প্রচারণার অভাবে থানচির অপূর্ব সৌন্দর্য সম্পর্কে তাদের সঠিক ধারণা ছিল না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিক প্রচেষ্টায় চট্টগ্রাম-বান্দরবান-থানচি এবং থানচি-আলীকদম রাস্তা উদ্বোধনের পর উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার ফলে ক্রমশই পর্যটকদের মধ্যে থানচিতে ভ্রমনের আগ্রহ পরিলক্ষিত হয়। বর্তমানে নির্মাণাধীন থানচি-রেমাক্রি-মদক-লিকরি সংযোগ সড়ক বান্দরবান এর অপূর্ব প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের আরেক টি দিগন্ত উন্মোচন করেছে। এর ফলে বান্দরবান এর পর্যটন শিল্প ভবিষ্যতে আরও সমৃদ্ধ হবে।এছাড়াও উল্লেখিত দর্শনীয় স্থান গুলো দেখার জন্য ভ্রমন পিপাসু দেশী-বিদেশী পর্যটকগণ সাঙ্গু নদীপথে গমনাগমন করে থাকেন। থানচি রিসোর্ট টি বিজিবি বান্দরবান সেক্টরের অন্তর্গত বলিপাড়া ব্যাটালিয়ন (৩৮ বিজিবি) দ্বারা পরিচালিত হয়।বান্দরবান শহর থেকে বাসযোগে থানচি যাত্রা করতে চাইলে, বান্দরবান বাস টার্মিনাল থেকে টমটম বা রিকসা যোগে আসতে হবে ৩নং যা থানচি স্টেশন নামে পরিচিত, বাসযোগ থানচি আসতে সময় লাগবে ৪ ঘন্টা ৩০ মিনিট। অথবা চাঁদের গাড়ি যোগে আসতে চাইলে বান্দরবান বাস টার্মিনাল থেকে টমটম বা রিকাসা যোগে আসতে হবে হিলবার্ড যেখানে চাঁদের গাড়ি থাকে সেখান থেকে চাঁদের গাড়ি যোগে থানচি আসতে সময় লাগবে ২ ঘন্টা ৩০ মিনিট।
সুবিধাদিঃ
ক। অবকাশ কেন্দ্রে সর্বমোট ১৫ টি রুম রয়েছে। এগুলো রুম গুলোর বিবরণ হলোঃ
১. বড় পাথর- ইয়াংরাই, মদক, টেন্ডুমখি, ছোটমধু, বড়টং (প্রতিটি রুমে এসি সুবিধা রয়েছে)।
২. হানিমুন কর্টেজ - এসি সুবিধা সহ একটি রুম।
৩. লিকরি কটেজ- এসি সুবিধা সহ দুটি রুম।
৪. রেমাক্রি কটেজ- এসি সুবিধা সহ দুটি রুম।
৫. নাফাখুম- এসি সুবিধা সহ তিনটি রুম।
৬. নাফাখুম- ননএসি দুটি রুম।
খ। পর্যটকদের জন্য রয়েছে অত্যাধুনিক আবাসন ব্যবস্থা।
গ। বিজিবিতে কর্মরত/প্রাক্তন অফিসার, সশস্ত্র বাহিনীর অফিসার, বেসামরিক ব্যক্তিবর্গ এবং বিদেশেী পর্যটক কক্ষ ভাড়া নিতে পারবেন।
ঘ। বড় পাথর ভবন থেকে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত উপভোগ করা যায়।
ঙ। সীমান্ত অবকাশের অবস্থান সুউচ্চ পাহাড়ের উপর হওয়ায় নিমিষেই চোখে পড়ে বান্দরবন পার্বত্য জেলার পাহাড়-নদী-বৃক্ষরাজি।
কটেজ ভাড়ার হারঃ
যোগাযোগঃ রিসোর্ট বুকিং এর জন্য- ০১৫৫০-৫৫৩৯৯৭।
“সীমান্ত অবকাশ” বিজিবি রিসোর্ট, থানচি এর স্থির চিত্রঃ
ঢাকা টু বিজিবি রিসোর্ট থানচিঃ
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম লিংকঃ