সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)-এর টেকনাফ ব্যাটালিয়নের অভিযানে ১.৩৫৩ কেজি ক্রিস্টাল মেথ আইস জব্দ।
প্রকাশন তারিখ
: 2023-02-19
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)-এর টেকনাফ ব্যাটালিয়নের অভিযানে ১.৩৫৩ কেজি ক্রিস্টাল মেথ আইস জব্দ।
বর্তমান সরকারের মাদকের বিরুদ্ধে 'জিরো টলারেন্স' নীতির যথাযথ বাস্তবায়নকল্পে মাঠ পর্যায়ে বিজিবি'র অভিযানিক কর্মকাণ্ড এবং গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় বিজিবি'র টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) তার দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ১.৩৫৩ কেজি ক্রিস্টাল মেথ আইস জব্দ করতে সক্ষম হয়েছে।
অদ্য ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ তারিখ রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায় যে, বিজিবি'র টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি)-এর অধীনস্থ দমদমিয়া বিওপি’র দায়িত্বপূর্ণ বিআরএম-৮ হতে আনুমানিক ৮০০ গজ উত্তর-পূর্ব দিকে জালিয়ারদ্বীপ এলাকা দিয়ে মাদকের একটি চালান মায়ানমার হতে বাংলাদেশে পাচার হতে পারে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে ব্যাটালিয়ন অধিনায়কের সার্বিক দিকনির্দেশনায় ব্যাটালিয়ন সদর এবং দমদমিয়া বিওপি হতে দুইটি চোরাচালান প্রতিরোধী টহলদল বর্ণিত এলাকায় গমন করতঃ কয়েকটি উপদলে বিভক্ত হয়ে কৌশলগত অবস্থান গ্রহণ করে। আনুমানিক রাত ০১৩০ ঘটিকায় টহলদল দুইজন ব্যক্তিকে একটি কাঠের নৌকাযোগে মায়ানমার হতে নাফ নদী পাড় হয়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে আসতে দেখে। নৌকাটি সীমান্ত শূন্যরেখা অতিক্রম করে জালিয়ারদ্বীপের কাছে আসলে বিজিবির টহলদল উক্ত নৌকাটিকে চ্যালেঞ্জ করে। বিজিবি’র উপস্থিতি অনুধাবন করা মাত্রই উক্ত চোরাকারবারীরা নৌকা হতে লাফ দিয়ে সাঁতার কেটে দ্রুত মায়ানমারের অভ্যন্তরে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে টহলদল নৌকাটি উদ্ধার করে নৌকার ভিতর হতে মাছ ধরার জালের ভিতর অভিনব পদ্ধতিতে পলিথিন দিয়ে মোড়ানো অবস্থায় একটি প্লাস্টিকের ব্যাগ উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত ব্যাগের ভিতর হতে ১.৩৫৩ কেজি ক্রিস্টাল মেথ আইস জব্দ করতে সক্ষম হয়। এছাড়াও অবৈধ মাদকদ্রব্য বহনের দায়ে ১০ কেজি সুতার জালসহ কাঠের নৌকাটিও জব্দ করা হয়। জব্দকৃত ক্রিস্টাল মেথ আইস, কাঠের নৌকা ও সুতার জালের আনুমানিক সিজারমূল্য ৬,৭৬,৭৩,০০০/- (ছয় কোটি ছিয়াত্তর লক্ষ তিহাত্তর হাজার) টাকা।
পরবর্তীতে বিজিবি টহলদল কর্তৃক উক্ত এলাকায় রাত ০২৩০ ঘটিকা পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করা হলেও কোন চোরাকারবারী কিংবা তাদের সহযোগীকে আটক করা সম্ভব হয়নি। উক্ত স্থানে অন্য কোন অসামরিক ব্যক্তিকে পাওয়া যায়নি বিধায় চোরাকারবারীদের সনাক্ত করাও সম্ভব হয়নি। তবে চোরাকারবারীদের সনাক্ত করার জন্য অত্র ব্যাটালিয়নের গোয়েন্দা কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
মাননীয় উপদেষ্টা
লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.)
বিস্তারিত
মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী
মোঃ খোদা বখস চৌধুরী
বিস্তারিত
মহাপরিচালক
মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী, ওএসপি, বিএসপি, এসইউপি, বিজিবিএম, এনডিসি, পিএসসি, এমফিল
বিস্তারিত
সামাজিক যোগাযোগ
জরুরি হেল্পলাইন নম্বর