Wellcome to National Portal
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১২ জানুয়ারি ২০২৩

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) -এর টেকনাফ ব্যাটালিয়নের অভিযানে ২,৫৮,৩৯,৬০০/- (দুই কোটি আটান্ন লক্ষ ঊনচল্লিশ হাজার ছয়শত) টাকা মূল্যের ৩.৩২০ কেজি স্বর্ণ ও ০৫ কেজি কারেন্ট জাল সহ একজন চোরাকারবারী আটক।


প্রকাশন তারিখ : 2023-01-12
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) -এর টেকনাফ ব্যাটালিয়নের অভিযানে ২,৫৮,৩৯,৬০০/- (দুই কোটি আটান্ন লক্ষ ঊনচল্লিশ হাজার ছয়শত) টাকা মূল্যের ৩.৩২০ কেজি স্বর্ণ ও ০৫ কেজি কারেন্ট জাল সহ একজন চোরাকারবারী আটক ।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)-এর টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) বাংলাদেশ-মায়ানমার সীমান্তের সার্বিক সুরক্ষা ছাড়াও সীমান্ত দিয়ে চোরাচালান, মাদকপাচার ও অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধ এবং আন্তঃরাষ্ট্রীয় সীমান্ত অপরাধ দমনে বর্তমান সরকারের 'জিরো টলারেন্স' নীতি
যথাযথ ও কার্যকরভাবে বাস্তবায়নে পেশাদারিত্বের সাথে দায়িত্ব পালন করে বেসামরিক পরিমন্ডলে ভূয়সী প্রশংসা অর্জন করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় বিজিবি'র টেকনাফ ব্যাটালিয়ন কর্তৃক পরিচালিত অভিযানে ৩.৩২০ কেজি স্বর্ণ ও ০৫ কেজি কারেন্ট জাল সহ একজন চোরাকারবারীকে আটক করতে সক্ষম হয়েছে।
বিজিবি'র টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) ১১ জানুয়ারি ২০২৩ তারিখে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, অত্র ব্যাটালিয়নের অধীনস্থ শাহপরীরদ্বীপ বিওপি’র দায়িত্বপূর্ণ বিআরএম-৩ হতে আনুমানিক ৭০০ গজ উত্তর দিকে ওবিএম পোস্ট এলাকা দিয়ে স্বর্ণের একটি বড় চালান মায়ানমার হতে বাংলাদেশে পাচার হতে পারে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে টেকনাফ ব্যাটালিয়নের অধিনায়কের দিকনির্দেশনায় ব্যাটালিয়ন সদর হতে উপ-অধিনায়ক এর নেতৃত্বে একটি বিশেষ টহলদল এবং শাহপরীরদ্বীপ বিওপি হতে একটি চোরাচালান বিরোধী টহলদল বর্ণিত এলাকায় গমন করতঃ কয়েকটি উপদলে বিভক্ত হয়ে কৌশলগত অবস্থান গ্রহণ করে। আনুমানিক রাত ২০০০ ঘটিকায় টহলদল উক্ত স্থান দিয়ে একজন ব্যক্তিকে নাফ নদীতে মৎস্য আহরণ শেষে জাল হাতে নিয়ে কেওড়া বাগানের ভিতর দিয়ে পায়ে হেঁটে বেড়ীবাঁধের দিকে আসতে দেখে। উক্ত সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে বিজিবি টহলদল চ্যালেঞ্জ করে তার দিকে দ্রুত গতিতে অগ্রসর হয়। উক্ত ব্যক্তি বিজিবি টহলদলের উপস্থিতি লক্ষ্য করা মাত্রই তার হাতে থাকা জাল ফেলে দিয়ে দৌড়ে পালোনোর চেষ্টা করলে টহলদল তাকে ধাওয়া করে আটক করতে সক্ষম হয়। উক্ত ব্যক্তিকে তল্লাশী করে তার কোমরে অভিনব পদ্ধতিতে ফিটিং অবস্থায় নেটের জাল ও টেপ দিয়ে মোড়ানো ২টি স্বর্ণের বারের বেল্ট এবং ০৫ কেজি কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়। পরবর্তীতে উক্ত বেল্টগুলো খুলে ২০টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত স্বর্ণের ওজন ৩.৩২০ কেজি। যার বর্তমান বাজার মূল্য ২,৫৮,৩৯,৬০০/- (দুই কোটি আটান্ন লক্ষ ঊনচল্লিশ হাজার ছয়শত) টাকা। আটককৃত ব্যক্তির স্বীকারোক্তিতে উক্ত স্বর্ণ পাচারের সাথে আরো ০২ জন চোরাকারবারী (পলাতক আসামী) জড়িত রয়েছে বলে জানায়। আটককৃত ব্যক্তির পরিচয়ঃ (১) মোঃ ইয়াছ নূর (২২), পিতা-মোঃ জাকারিয়া, গ্রাম-শাহপরীরদ্বীপ উত্তর পাড়া, ৮নং ওয়ার্ড, পোস্ট-সাবরাং, থানা-টেকনাফ, জেলা-কক্সবাজার।
উল্লেখ্য, উদ্ধারকৃত কারেন্ট জাল টেকনাফ কাষ্টম অফিসে এবং স্বর্ণের বারসমূহ কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের কার্যালয় (ট্রেজারী শাখায়) জমা করতঃ আটককৃত ০১ জন এবং পলাতক ০২ জনের বিরুদ্ধে সরকারী কর/শুল্ক ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে স্বর্ণ চোরাচালানের দায়ে নিয়মিত মামলার মাধ্যমে টেকনাফ মডেল থানায় সোপর্দ করার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
May be an image of 5 people and text